আন্তব্যক্তিক দ্বন্দ্ব কী | আন্তব্যক্তিক সম্পর্কে কেন দ্বন্দ্ব সংগঠিত হয়
আন্তব্যক্তিক দ্বন্দ্ব
মানুষের জীবন অতিবাহিত হয় সম্পর্কের মধ্য দিয়ে, বন্ধনের মধ্যে দিয়ে। আমরা যখন বন্ধনের মধ্যে থাকি তার এক পর্যায়ে আসে দ্বন্দ্ব (Conflict)। সম্পর্ক থাকলে দ্বন্দ্ব হবে। দ্বন্দ্ব না থাকাই অস্বাভাবিক। যে কোন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হতে পারে। হতে পারে মত বিরোধিতা নিয়ে, মতের পার্থক্য নিয়ে।
যোগাযোগবিদ Joseph A DeVito দ্বন্দ্ব সম্পর্কে বলেছেন- Conflict is a part of
every interpersonal relationship between parents and children, brothers and
sisters, friends, lovers and co- workers. If it is not then the relationship is
probably dull, irrelevant or insignificant. Conflict is inevitable in any
meaningful relationship.
Rudolph p Vender তার Communication গ্রন্হে বলেছেন-
Conflict is
the clash of opposing attitudes, ideas, behaviours, goals and needs.
যোগাযোগবিদ T.K. Gamble and M. Gangle তাদের Communication Works গ্রন্হে বলেছেন
conflict is the clash of opposing beliefs, opinions, values,
needs, assumptions and goods.
উপরিউক্ত আলোচনা
থেকে
আমরা
বলতে
পারি,
দ্বন্দ্ব
হল
দুই
জন
ব্যক্তির
আচার-
ব্যবহার,
ধারণা,
লক্ষ্য,
উদ্দেশ্য
বা
যে
কোন
বিষয়ে
মতবিরোধ
আন্তব্যক্তিক সম্পর্কে কেন দ্বন্দ্ব সংগঠিত হয়?
আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কে যেসব কারণে দ্বন্দ্ব হয়ে থাকে তা হলো:
১। Goals to be pursued
যেসব লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নিয়ে আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক গড়ে উঠে তার মধ্যে যদি মতবিরোধ হয়। অর্থাৎ দুই জনের মধ্যে যদি লক্ষ্য অর্জনের ভিন্নতা থাকে তাহলে আন্তঃব্যক্তিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
২। Allocation of resources such as
money or time
ব্যক্তিগত সম্পদের সুষম বন্টন না হলেও আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
৩। Decisions to be made
আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কিত কোন ব্যক্তির উদ্দেশ্য যেহেতু ভিন্ন হয় তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভিন্ন মত থাকতেই পারে।
৪। Behaviors that are considered appropriate or desirable by one
person, are inappropriate or undesirable by the other
একজনের সাথে আরেকজনের আচরণের যদি পার্থক্য থাকে। একজন যদি আরেকজনের আচরণ যথার্থ মনে না করে বা অপছন্দ করে তাহলে দ্বন্দ্ব হবেই।
এছাড়া আরও যেসব কারণে দ্বন্দ্ব হতে পারে:
১। আর্থিক অসমতা থাকলে
২। শিক্ষাগত পার্থক্য থাকলে
৩। সংস্কৃতিগত পার্থক্য থাকলে
৪। ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হলে
৫। সহিষ্ণুতা হ্রাস পেলে
৬। ভোগলিক পার্থক্য থাকলে
No comments